সিভি (Curriculum Vitae) লেখার কিছু মৌলিক নিয়ম ও টিপস নিচে দেওয়া হলো:
১. মৌলিক তথ্য:
নাম: পুরো নাম স্পষ্টভাবে লেখুন।
যোগাযোগের তথ্য: মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও ঠিকানা উল্লেখ করুন।
২. উদ্দেশ্য বা ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ:
আপনার ক্যারিয়ার লক্ষ্য ও আপনি কোন পদের জন্য আবেদন করছেন, তা সংক্ষেপে লিখুন।
৩. শিক্ষা:
সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রথমে উল্লেখ করুন।
প্রতিষ্ঠান, ডিগ্রী, এবং পাসের বছর অন্তর্ভুক্ত করুন।
৪. অভিজ্ঞতা:
পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন।
কাজের নাম, প্রতিষ্ঠান, কর্মকাল এবং মূল দায়িত্বগুলি উল্লেখ করুন।
৫. দক্ষতা:
আপনার প্রযুক্তিগত ও নরম দক্ষতা (soft skills) উল্লেখ করুন, যেমন: কম্পিউটার দক্ষতা, ভাষার জ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি।
৬. প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট:
যে কোনও প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেটের তথ্য দিন।
৭. রেফারেন্স:
যদি প্রয়োজন মনে করেন, ২-৩ জন রেফারেন্সের নাম ও যোগাযোগের তথ্য উল্লেখ করুন।
৮. সজ্জা ও ফরম্যাট:
সিভি সহজপাঠ্য ও পরিষ্কারভাবে সাজান।
একটি পৃষ্ঠা বা সর্বাধিক দুই পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
বানান ও ব্যাকরণ সঠিক রাখুন।
৯. কাস্টমাইজেশন:
প্রতিটি কাজের জন্য সিভি কাস্টমাইজ করুন, যাতে আপনি সংশ্লিষ্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা হাইলাইট করতে পারেন।
১০. পেশাদারিত্ব:
সিভিতে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন; অযথা ব্যক্তিগত তথ্য যেমন জন্ম তারিখ বা পরিবারের সদস্যের তথ্য উল্লেখ করা এড়িয়ে চলুন।
রাজনৈতিক সিভি লেখার জন্য কিছু মৌলিক নিয়ম ও টিপস নিচে দেওয়া হলো:
১. মৌলিক তথ্য:
নাম ও পদবি: আপনার পূর্ণ নাম এবং রাজনৈতিক পদবি (যদি থাকে) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
যোগাযোগের তথ্য: ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা দিন।
২. রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য:
একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আপনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, লক্ষ্য এবং কী কারণে আপনি নির্বাচনে দাঁড়াতে চান, তা উল্লেখ করুন।
৩. শিক্ষা:
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করুন, বিশেষ করে যদি তা রাজনৈতিক বিষয়ক হয়। প্রতিষ্ঠান, ডিগ্রী এবং পাসের বছর অন্তর্ভুক্ত করুন।
৪. রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা:
পূর্ববর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নির্বাচনী প্রচারণা, দলের দায়িত্ব ও ভূমিকা, এবং নির্বাচনের ফলাফল উল্লেখ করুন।
৫. সম্প্রদায় ও সংগঠন:
আপনার সমাজসেবা, এনজিও বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন।
৬. দক্ষতা:
রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আলোচনায় দক্ষতা, জনসংযোগ, এবং সমস্যা সমাধানে আপনার বিশেষ দক্ষতা উল্লেখ করুন।
৭. প্রকাশনা ও বক্তৃতা:
যদি আপনার কোনো বই, নিবন্ধ বা গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা প্রকাশিত হয়ে থাকে, তার উল্লেখ করুন।
৮. রেফারেন্স:
রাজনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রের পরিচিত ব্যক্তির নাম ও যোগাযোগের তথ্য উল্লেখ করুন, যারা আপনার কাজ সম্পর্কে জানেন।
৯. সজ্জা ও ফরম্যাট:
সিভি পরিষ্কার, সহজপাঠ্য এবং পেশাদারভাবে সাজান। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হাইলাইট করুন।
১০. কাস্টমাইজেশন:
নির্বাচনের জন্য সিভি কাস্টমাইজ করুন, যাতে আপনি নির্বাচনী এলাকার চাহিদা ও সমস্যা অনুযায়ী আপনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারেন।
১১. পেশাদারিত্ব:
সিভিতে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন; অযথা ব্যক্তিগত তথ্য বাদ দিন এবং মানসিকতা বজায় রাখুন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারন করে, আওয়ামী-স্বে”ছাসেবকলীগ এর কর্মীরুপে গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।
রাজনৈতিক পরিচিতি ঃ
২০১৯-বর্তমান ঃ সভাপতি, আওয়ামী-স্বে”ছাসেবকলীগ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা, ঢাকা মহানগর উত্তর।
২০১৮-২০১৯ ঃ সাবেক সাধারন সম্পাদক, আওয়ামী-স্বে”ছাসেবকলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।
২০১৪-২০১৮ ঃ সাবেক ১ম যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, আওয়ামী-স্বে”ছাসেবকলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।
২০১১-২০১৪ ঃ সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, আওয়ামী-স্বে”ছাসেবকলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।
২০০৪-২০১১ ঃ সাবেক সাধারন সম্পাদক, আওয়ামী-স্বে”ছাসেবকলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।
২০০১-২০০৪ ঃ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর।
১৯৯৯-২০০১ ঃ সাবেক সদস্য, হালুয়াঘাট উপজেলা ছাত্রলীগ, ময়মনসিংহ।
১৯৯৭-১৯৯৯ ঃ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ১১নং আমতৈল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ।
রাজনৈতিক কর্মকান্ড ঃ
রাজনৈতিক অঙ্গনে বি.এন.পি, জামায়াত জোট সরকারের সময়ে প্রতিনিয়ত মিছিল, মিটিং, আন্দোলন, সংগ্রাম, হরতাল, অবরোধ ও দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল এবং অদ্যাবধি দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছি।
নির্যাতন কারাবরণ ঃ
রাজনৈতিক অঙ্গনে জোট সরকারের আমলে, পুলিশী নির্যাতন ও ২০০৬ সালে নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশ ও বিডিআর এর অমানুষিক নির্যাতন ও কারাবরণ করেছি। যাহা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দেখানো হয়েছিল এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পোষ্টার ও ফেষ্টুনে ছাপা হয়েছিল।
সখ ও মানবিক চিন্তা-চেতনা ঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শকে ধারন করে অসহায় ও দু¯’দের সহযোগিতার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশ বিনির্মানে সহযাত্রী হওয়া।
(আবুল কালাম খান)