বিভিন্ন দেশে স্পাউস ভিসা সুবিধা অসুবিধা

বিভিন্ন দেশে স্পাউস ভিসা সুবিধা অসুবিধা

স্পাউস (Spouse) ভিসার সুবিধা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত একজন প্রবাসী বা নাগরিকের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন:

1. কানাডা

স্পাউস ভিসা সুবিধা:

যদি আপনি কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক হন, তবে আপনার স্ত্রী বা স্বামীকে পরিবারের সদস্য হিসেবে স্পাউস ভিসা দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় নিয়ে আসতে পারেন।

আপনার স্পাউস কাজ করতে পারবেন এবং কানাডার সমাজে বাস করতে পারবেন।

কানাডা প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুবিধাও উপলব্ধ।

2. অস্ট্রেলিয়া

স্পাউস ভিসা সুবিধা:

অস্ট্রেলিয়াতে আপনার স্পাউস যদি আপনার সাথে থাকে, তবে তারা ফুল টাইম কাজ করতে পারবে এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা পাবে।

তারা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে, যেমন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি।

3. যুক্তরাজ্য

স্পাউস ভিসা সুবিধা:

যুক্তরাজ্যে একটি স্পাউস ভিসা (marriage visa) পাওয়ার মাধ্যমে আপনার স্পাউস যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করতে পারবে।

এই ভিসার মাধ্যমে আপনার স্পাউস যদি ৫ বছরের কম সময়ের জন্য যুক্তরাজ্যে থাকে, তবে তারা ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে।

সাধারণত তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সামাজিক সুবিধা প্রাপ্য।

4. নিউজিল্যান্ড

স্পাউস ভিসা সুবিধা:

নিউজিল্যান্ডে স্পাউস ভিসা প্রাপ্তরা সেখানে কাজ করতে পারবেন এবং সাধারণ নাগরিকদের মত সামাজিক সুবিধা পাবেন।

তাদেরকে স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।

5. যুক্তরাষ্ট্র

স্পাউস ভিসা সুবিধা:

K-3 ভিসা বা CR1/IR1 ভিসা দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রে আপনার সঙ্গীকে নিয়ে আসা সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালে, স্পাউস কাজ করতে পারবেন, এবং পরে তারা গ্রিন কার্ড আবেদন করতে সক্ষম হবে।

নোট:

প্রতিটি দেশের জন্য স্পাউস ভিসা এবং সুযোগ-সুবিধার শর্তগুলো আলাদা হতে পারে, এবং নিয়মাবলীও সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি যে দেশের জন্য আগ্রহী, তার বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ও নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট দেশের ইমিগ্রেশন অফিস বা কনসুলেট থেকে জানা উচিত।

স্পাউস (Spouse) ভিসার সুবিধা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হয়ে থাকে এবং এটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের অভিবাসন নীতির ওপর। সাধারণত, স্পাউস ভিসার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার জীবনসঙ্গীর সাথে থাকা, কাজ করা বা পড়াশোনা করার অনুমতি পেতে পারে। নিচে কিছু প্রধান দেশ অনুযায়ী স্পাউস ভিসার সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো

. যুক্তরাজ্য (UK Spouse Visa)

  • ব্রিটিশ নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দার জীবনসঙ্গীর জন্য অনুমোদিত।
  • ২.৫ বছরের জন্য দেওয়া হয় এবং পরবর্তী সময়ে নবায়ন করা যায়।
  • ৫ বছর পর স্থায়ী বসবাস (Indefinite Leave to Remain – ILR) এর সুযোগ।
  • কাজ করার অনুমতি থাকে।
  • সরকারি স্বাস্থ্যসেবা (NHS) ব্যবহার করা যায়।

. যুক্তরাষ্ট্র (US Spouse Visa)

  • দুটি মূল ক্যাটাগরি: CR-1 (Conditional Resident) ও IR-1 (Immediate Relative)।
  • গ্রীন কার্ড পাওয়ার সুযোগ।
  • কাজের অনুমতি (Employment Authorization) পাওয়া যায়।
  • নাগরিকত্বের জন্য যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ।

৩. কানাডা (Canada Spousal Sponsorship)

  • কানাডার নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা তাদের স্বামী/স্ত্রীকে স্পন্সর করতে পারেন।
  • আবেদন মঞ্জুর হলে স্পাউস কানাডায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পান।
  • কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়।

. অস্ট্রেলিয়া (Australian Partner Visa)

  • দুটি ধাপে (Temporary ও Permanent) দেওয়া হয়।
  • প্রথমে المؤقت (Temporary) ভিসা পাওয়া যায়, পরে স্থায়ী ভিসার জন্য যোগ্যতা অর্জন করা যায়।
  • কাজ ও শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি থাকে।

. ইউরোপীয় দেশসমূহ (Schengen & Other EU Countries)

  • শেঞ্জেন ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে স্পাউস ভিসা সাধারণত পার্টনারশিপ ভিত্তিক দেওয়া হয়।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজের অনুমতি থাকে।
  • EU নাগরিকের জীবনসঙ্গীদের জন্য সহজ শর্তে ভিসা দেওয়া হয়।

IELTS স্কোরের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে ভিন্ন হতে পারে। নিচে কিছু দেশের সাধারণত প্রয়োজনীয় IELTS স্কোরের তথ্য দেওয়া হলো:

যুক্তরাজ্য (UK):

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম: সাধারণত মোট স্কোর ৬.৫, এবং প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ৬.০।

টিয়ার ৪ স্টুডেন্ট ভিসা: ন্যূনতম ৪.০ স্কোর প্রয়োজন।

অস্ট্রেলিয়া:

স্নাতক প্রোগ্রাম: সাধারণত মোট স্কোর ৬.০, এবং কোনো বিভাগে ৫.৫ এর কম নয়।

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম: সাধারণত মোট স্কোর ৬.৫, এবং কোনো বিভাগে ৬.০ এর কম নয়।

স্টুডেন্ট ভিসা (সাবক্লাস ৫০০): সাধারণত মোট স্কোর ৫.৫, এবং কোনো বিভাগে ৫.০ এর কম নয়।

কানাডা:

স্নাতক প্রোগ্রাম: সাধারণত মোট স্কোর ৬.০, এবং কোনো বিভাগে ৫.৫ এর কম নয়।

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম: সাধারণত মোট স্কোর ৬.৫, এবং কোনো বিভাগে ৬.০ এর কম নয়।

নিউজিল্যান্ড:

স্নাতক প্রোগ্রাম: সাধারণত মোট স্কোর ৬.০।

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম: সাধারণত মোট স্কোর ৬.৫।

যুক্তরাষ্ট্র (USA):

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম: বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের ভিত্তিতে ভিন্ন হয়, তবে সাধারণত মোট স্কোর ৬.০ থেকে ৭.০ এর মধ্যে প্রয়োজন।

নোট: উল্লেখিত স্কোরসমূহ সাধারণ নির্দেশনা মাত্র। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা ভিসা অফিস থেকে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত, কারণ প্রয়োজনীয়তা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।

বিভিন্ন দেশে স্পাউস (Spouse) ভিসা

বিভিন্ন দেশে স্পাউস (Spouse) ভিসার নিয়ম ও সুবিধা ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত, স্পাউস ভিসা একজন বিদেশি নাগরিককে তার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে থাকা, কাজ করা, এবং কিছু ক্ষেত্রে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ দেয়। নিচে বিভিন্ন দেশের স্পাউস ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো—

১. যুক্তরাজ্য (UK Spouse Visa)

  • যোগ্যতা: আবেদনকারীকে ব্রিটিশ নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দার জীবনসঙ্গী হতে হবে।
  • আয় শর্ত: স্পন্সরকে কমপক্ষে £১৮,৬০০ বার্ষিক আয় দেখাতে হবে (সন্তান থাকলে বেশি)।
  • মেয়াদ: প্রথমে ২.৫ বছরের জন্য দেওয়া হয়, যা নবায়নযোগ্য।
  • স্থায়ী বসবাস: ৫ বছর পর Indefinite Leave to Remain (ILR) পাওয়ার সুযোগ।
  • কাজের অনুমতি: পুরো সময় কাজ করার অনুমতি রয়েছে।
  • সুবিধা: NHS স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা পাওয়া যায়।

২. যুক্তরাষ্ট্র (US Spouse Visa)

  • ধরন:
    • CR-1 (Conditional Resident) IR-1 (Immediate Relative) ভিসা – গ্রিন কার্ডের পথ সুগম করে।
    • K-3 ভিসা – সাময়িক স্পাউস ভিসা, পরে গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করা যায়।
  • মেয়াদ: প্রথমে ২ বছরের জন্য, পরে ১০ বছরের জন্য নবায়নযোগ্য।
  • কাজের অনুমতি: Employment Authorization Document (EAD) পেলে কাজ করা যায়।
  • স্থায়ী বসবাস: ৩-৫ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

৩. কানাডা (Canada Spousal Sponsorship)

  • যোগ্যতা: কানাডিয়ান নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা স্বামী/স্ত্রীকে স্পন্সর করতে পারেন।
  • ধরন:
    • Inland Sponsorship – যদি স্পাউস কানাডায় থাকে।
    • Outland Sponsorship – যদি স্পাউস বিদেশে থাকে।
  • স্থায়ী বসবাস: আবেদন গৃহীত হলে স্পাউস স্থায়ী বাসিন্দা (PR) হতে পারেন।
  • কাজের অনুমতি: Open Work Permit পাওয়া যায়।

৪. অস্ট্রেলিয়া (Australian Partner Visa)

  • ধরন:
    • Subclass 820/801 (Onshore) & Subclass 309/100 (Offshore)
  • প্রক্রিয়া:
    • প্রথমে টেম্পোরারি পার্টনার ভিসা দেওয়া হয়।
    • নির্দিষ্ট সময় পর স্থায়ী বসবাসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা যায়।
  • কাজের অনুমতি: পূর্ণকালীন কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

৫. ইউরোপীয় দেশসমূহ (Schengen & Other EU Countries)

  • EU নাগরিকদের জীবনসঙ্গীর জন্য সুবিধা:
    • সহজ শর্তে ভিসা অনুমোদন।
    • কাজের অনুমতি থাকে।
    • EU নাগরিকের স্পাউস হিসেবে ফাস্ট-ট্র্যাক প্রসেসিং পাওয়া যায়।
  • নন-EU নাগরিকদের জন্য:
    • স্পন্সরশিপ প্রয়োজন হতে পারে।
    • নির্দিষ্ট আয় শর্ত থাকতে পারে।

৬. নিউজিল্যান্ড (New Zealand Partner Visa)

  • যোগ্যতা: নিউজিল্যান্ডের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দার জীবনসঙ্গী হতে হবে।
  • কাজের অনুমতি: অনুমোদিত ভিসার মাধ্যমে কাজ করা যায়।
  • স্থায়ী বসবাস: দীর্ঘ সম্পর্ক থাকলে PR আবেদন করা যায়।

৭. সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE Spouse Visa)

  • যোগ্যতা: স্বামী বা স্ত্রীকে স্পন্সর করতে হলে নির্দিষ্ট মাসিক আয় থাকতে হবে।
  • কাজের অনুমতি: নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে স্পন্সরের অনুমতি প্রয়োজন হয়।
  • স্থায়ী বসবাস: স্থায়ী বসবাসের সুযোগ সীমিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Up