VOICE OF DESH

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে জেনে নিন-Dr. Muhammad Yunus

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে জেনে নিন-Dr. Muhammad Yunus ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে জেনে নিন-Dr. Muhammad Yunus

শিক্ষা ও প্রথম জীবন:
• মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা: ড. ইউনূস চট্টগ্রামের স্থানীয় বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
• উচ্চ শিক্ষা: তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও পিএইচডি করেন।
প্রথম কাজ ও গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা:
• শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন: পিএইচডি সম্পন্ন করার পর, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
• গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৬ সালে, ড. ইউনূস স্থানীয় গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্দেশ্যে একটি প্রজেক্ট শুরু করেন। তার পরবর্তীতে এই প্রজেক্ট গ্রামীণ ব্যাংকে পরিণত হয়, যা ক্ষুদ্র ঋণের মডেল হিসেবে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে।
সামাজিক ব্যবসা ও অন্যান্য উদ্যোগ:
• সামাজিক ব্যবসা: ড. ইউনূস সামাজিক ব্যবসার ধারণা প্রবর্তন করেন, যা শুধুমাত্র লাভের উদ্দেশ্যে নয় বরং সামাজিক সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
• গ্রামীণ ফোন: ১৯৯৭ সালে গ্রামীণ ফোন প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশে মোবাইল টেলিকম ক্ষেত্রের বিপ্লব ঘটায় এবং জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
• নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০৬): ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংককে “দারিদ্র্য দূরীকরণে অসামান্য অবদান” রাখার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
• অন্যান্য সম্মাননা: তিনি ফ্রান্সের লেজিওন অফ অনার, জাপানের অর্ডার অফ দ্য সান এবং অন্যান্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছেন।
লেখা ও বক্তৃতা:
• লেখক: ড. ইউনূস বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন, যেমন “ব্যাংকস আন্ডার দ্য ব্রিজ” এবং “অল্টারনেটিভ বিজনেস”।
• বক্তা: তিনি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তার চিন্তাধারা ও উদ্ভাবনী মডেল নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবদান কেবল বাংলাদেশের নয়, বরং সারা বিশ্বের দারিদ্র্য হ্রাস ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি প্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত। তার কাজের মাধ্যমে, তিনি বিশ্বের অনেক মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী। তিনি “গ্রামীণ ব্যাংক” প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচিত, যা দরিদ্র মানুষদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে তাদের অর্থনৈতিক সত্ত্বা উন্নত করতে সহায়ক। এই উদ্যোগের জন্য তাকে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।
ড. ইউনূসের দারিদ্র্যবিরোধী কাজ এবং সামাজিক ব্যবসার ধারণা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তার গ্রামীণ ব্যাংক মডেলটি নন-প্রফিট ব্যাংকিং এবং ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ উন্মোচন করেছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর “গ্রামীণ ব্যাংক” প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তিনি ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্রদের উদ্যোগ শুরু করার সুযোগ প্রদান করে, যা তাদের স্বাবলম্বী হতে সহায়ক।
ড. ইউনূসের সমাজকর্মের পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসার ধারণাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, ব্যবসা শুধুমাত্র মুনাফার জন্য নয়, বরং সামাজিক সমস্যার সমাধানেও হতে পারে। তিনি সামাজিক ব্যবসার মডেল প্রবর্তন করেছেন, যা লাভের উদ্দেশ্যে নয় বরং সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য তৈরি।
তিনি বিশ্বব্যাপী নানা সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেছেন, যেমন লেজিওন অফ অনার (ফ্রান্স), টেমপ্লেটন পুরস্কার এবং অর্ডার অফ দ্য সান (জাপান)। তাঁর কাজের কারণে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিবর্তনে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এসেছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জীবনের কাজ এবং অর্জনগুলো অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং বৈশ্বিক প্রভাব ফেলেছে। এখানে তার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান উল্লেখ করা হলো:
১. গ্রামীণ ব্যাংক এবং ক্ষুদ্র ঋণ মডেল:
গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ড. ইউনূস ক্ষুদ্র ঋণের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এই ব্যাংক দরিদ্র মানুষের কাছে ঋণ সরবরাহ করে, যার মাধ্যমে তারা ব্যবসা শুরু করতে পারে, নিজেদের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করতে পারে এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতে পারে। এই মডেলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে।
২. সামাজিক ব্যবসার ধারণা:
ড. ইউনূস সামাজিক ব্যবসার ধারণা প্রবর্তন করেছেন, যা লাভের পরিবর্তে সমাজসেবার উদ্দেশ্যে তৈরি। সামাজিক ব্যবসায়ীরা তাদের উদ্যোগ থেকে লাভের পরিবর্তে সমাজের উপকারের দিকে মনোনিবেশ করেন। সামাজিক ব্যবসার উদাহরণ হিসেবে, ইউনূস ফাউন্ডেশন এবং ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস উল্লেখযোগ্য।
৩. অন্যান্য উদ্যোগ:
গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যের পর, ড. ইউনূস নানা নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যেমন গ্রামীণ ফোন (মোবাইল টেলিকম ব্যবসা) এবং গ্রামীণ কসমেটিকস (বিশেষভাবে নারীদের জন্য ব্যবসা)। এসব উদ্যোগ তার দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যকে আরো ব্যাপকভাবে বাস্তবায়িত করতে সহায়ক।
৪. লেখক এবং বক্তা:
ড. ইউনূস “গ্রামীণ ব্যাংক: দ্য এশিয়ান অ্যাডভেঞ্চার” এবং “এ বেটার ওয়ার্ল্ড: ব্ল্যাকবোর্ডস অফ ডেভেলপমেন্ট” সহ বেশ কিছু বই লিখেছেন। তার লেখায় দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসার বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে তার চিন্তাধারা ও অভিজ্ঞতা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫. প্রভাব এবং সম্মাননা:
ড. ইউনূসের কাজ এবং অবদানের জন্য তাকে নানা আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার ছাড়াও, তাকে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করেছে। তিনি তার উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই প্রচেষ্টা এবং উদ্ভাবন বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে জেনে নিন Dr. Muhammad Yunus
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে জেনে নিন-Dr. Muhammad Yunus

সারা পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল।
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে ‘সুদখোর’ ঢাকা হয় বারবার। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশীরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না।
জিনিসটা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা।
এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক।
এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।
বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরী করতেন।
তিনি যে নিজের কোনো শেয়ার রাখেননি তা না, কোম্পানীকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। কোম্পানী অধ্যাদেশ ২৮ ধারা অনুযায়ী তিনি এটি রেজিস্ট্রেশন করেন।
শুধু যে গ্রামীন ব্যাংকে তিনি মালিকানা রাখেননি তা কিন্তু না। জর্জ সরোস, টেলিনরদের এনে তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কথায় টেলিনর বাংলাদেশে আসে। তাঁর কথায় তাঁর বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা গরীবদের উন্নতির জন্য ফান্ড দেয়। তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। অনেকেই জানেন না গ্রামীন টেলিকমকে নন ফর প্রফিট কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১% মালিকানাও রাখেননি। তিনি চাইলে ইজিলি ১০-১৫ পার্সেন্ট মালিকানা নিজের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো সুদের হার বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত সুদ বোধহয় কেউ নেয় না। আর নিশ্চয় এই টাকায় প্রফিট করেন ড ইউনূস!
আসলে আমাদের দেশের মানুষ এসব কল্পনাও করতে পারেন না, একজন মানুষ ব্যবসা করবে অথচ সেখান থেকে নিজে কোনো লাভ করবে না। এমন কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আমরা ভাবতে পারি কেবল টাকা কামানোর কথা।
যেমনভাবে ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। ওনার ভাষায় ‘নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।’
মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই ওনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে গেছেন, নিজের কোনো মালিকানা রাখেননি।
এরকমটা কি আপনি ভাবতে পারেন? আপনি বাংলাদেশের যেকোনো কোম্পানী দেখেন, তাদের সব নিজেদের মালিকানা।
কোম্পানীর কথা বাদ দেন, এনজিও ব্র‍্যাক দেখেন! মালিকানা ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের। বড় বড় পদে পরিবারের সদস্যরা আছে।
কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস সেটা করেননি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।
অথচ ড মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে এসব ব্যবসায় নিজের মালিকানা রেখে ইজিলি বিলিয়নিয়ার হয়ে যেতে পারতেন। খুব ইজিলি।
তাঁর প্রায় সব বন্ধুবান্ধব বিলিয়নিয়ার, মাল্টি বিলিয়নিয়ার। তিনি সেদিকে যাননি।
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী?
আমি নিশ্চিত, এটাও অনেকে জানেন না।
ড মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার মত। কখনো আরো বেশী।
বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ওনাকে নিয়ে যান ওনার বক্তব্য শুনতে।
ওনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়।
২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো।
২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। যাতে ওনি পরামর্শ দেন।
এদিকে আমরা মনে করি গ্রামীন ব্যাংক আর গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থেকে টাকা পান তিনি। যেন গ্রামীন ব্যাংকের সুদগুলো সরকার খায় না, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস খায়। এরা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকারই করে না যে, এগুলোতে তার ০.০১% শেয়ারও নাই।
ওনি একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে, কিন্তু অনুমতি পাননি। একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতো। ওনি বললে পৃথিবীর সেরা সেরা প্রফেসররা সেখানে এসে ক্লাস নিয়ে যেতো। ওনি ডাকলে এমনকি বিল গেটস কিংবা আমেরিকান প্রেসিডেন্টও তাঁর ইউনিভার্সিটিতে স্পীচ দিতে চলে আসতো।
কিন্তু সেটা হতে দেয়া হয়নি। তাঁকে ইউনিভার্সিটি করতে দেয়া হয়নি।
ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, আপনার মনে হবে- দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা ড মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিজার্ভই করিনা।
একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি জানতেন মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীনব্যাংক কিংবা গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের জন্য কোনো শেয়ার রাখেননি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *