কোভিড-১৯ রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স কি আলাদা আছে?
কোভিড-১৯ একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসেবে আমাদের জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা এবং স্থানান্তরের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো: “কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স কি আলাদা আছে?”
আজকের এই লেখায় আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব এবং কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
কোভিড-১৯ এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজনীয়তা
কোভিড-১৯ একটি উচ্চ সংক্রমণক্ষম ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সঠিক চিকিৎসা এবং স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা অপরিহার্য। তবে কোভিড রোগীদের স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা যায় না, কারণ এটি অন্যান্য রোগী এবং অ্যাম্বুলেন্স স্টাফদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই কারণে কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রয়োজন।
কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স কি আলাদা আছে?
হ্যাঁ, কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স আছে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে আলাদা এবং এতে বিশেষ সুবিধা থাকে। নিচে এই অ্যাম্বুলেন্সের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:
- কোভিড–১৯ বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স
কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে বিশেষ সুবিধা থাকে যা কোভিড রোগীদের স্থানান্তরের সময় সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমায়।
- নেগেটিভ প্রেশার ক্যাবিন:কোভিড অ্যাম্বুলেন্সে নেগেটিভ প্রেশার ক্যাবিন থাকে, যা ভাইরাসের ছড়ানো প্রতিরোধ করে।
- এয়ার ফিল্টারিং সিস্টেম:এই অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ এয়ার ফিল্টারিং সিস্টেম থাকে, যা ভাইরাসকে ফিল্টার করে বাইরে ছাড়ায়।
- অক্সিজেন সিলিন্ডার:কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকে।
- সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের সাথে পার্থক্য
কোভিড অ্যাম্বুলেন্স এবং সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে এই পার্থক্যগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:
- সুরক্ষা ব্যবস্থা:কোভিড অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে, যা সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সে থাকে না।
- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ:কোভিড অ্যাম্বুলেন্সে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে।
- চিকিৎসা সুবিধা:কোভিড অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা থাকে, যা কোভিড রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা
কোভিড অ্যাম্বুলেন্সে বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে যা কোভিড রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:
- নেগেটিভ প্রেশার ক্যাবিন:এটি ভাইরাসের ছড়ানো প্রতিরোধ করে।
- এয়ার ফিল্টারিং সিস্টেম:এটি ভাইরাসকে ফিল্টার করে বাইরে ছাড়ায়।
- অক্সিজেন সিলিন্ডার:এটি কোভিড রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা:এটি কোভিড রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করে।
কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের উপলব্ধতা
বাংলাদেশে কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের উপলব্ধতা সীমিত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা জেনারেল হাসপাতাল, এবং অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলো কোভিড অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে। তবে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানেও কোভিড অ্যাম্বুলেন্স উপলব্ধ থাকে।
- সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা
সরকারি হাসপাতালগুলো কোভিড অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে। এই সেবাগুলো সাধারণত ফ্রি বা খুব কম খরচে পাওয়া যায়।
- বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কোভিড অ্যাম্বুলেন্স উপলব্ধ থাকে। এই সেবাগুলো সাধারণত বেশি খরচে পাওয়া যায়।
কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের খরচ
কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের খরচ সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে বেশি হয়। এই খরচ নির্ভর করে দূরত্ব, অ্যাম্বুলেন্সের ধরন (সরকারি বা বেসরকারি), এবং রোগীর অবস্থার উপর।
- সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের খরচ:সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের খরচ সাধারণত ফ্রি বা খুব কম খরচে পাওয়া যায়।
- বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের খরচ:বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের খরচ সাধারণত বেশি হয়। কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের খরচ সাধারণত ৫০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে থাকে।
কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের চ্যালেঞ্জ
কোভিড অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নিচে এই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:
- উপলব্ধতার সীমাবদ্ধতা
কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের উপলব্ধতা সীমিত। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এই সেবা পাওয়া কঠিন।
- খরচের বৃদ্ধি
কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের খরচ সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে বেশি হয়। এটি অনেক রোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- স্টাফের অভাব
কোভিড অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ স্টাফের প্রয়োজন হয়। তবে স্টাফের অভাব থাকতে পারে।
অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া
অ্যাম্বুলেন্স হলো জরুরি চিকিৎসা পরিবহনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, বিশেষ করে সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে। কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের রোগীদের পরিবহন করার পর অ্যাম্বুলেন্সের জীবাণুমুক্তকরণ (disinfection) প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি না করলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা পরবর্তী রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং চালকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এই নিবন্ধে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের পর কীভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কেন অ্যাম্বুলেন্স জীবাণুমুক্তকরণ গুরুত্বপূর্ণ?
- সংক্রমণ প্রতিরোধ: কোভিড-১৯, টিবি, হেপাটাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা।
- পরবর্তী রোগীর সুরক্ষা: নতুন রোগীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
- চালক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা: যারা নিয়মিত অ্যাম্বুলেন্সে কাজ করেন, তাদের ঝুঁকি কমানো।
- সরকারি ও স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসরণ করা।
অ্যাম্বুলেন্স জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান
অ্যাম্বুলেন্স জীবাণুমুক্ত করার আগে পরিস্কারক কর্মীদের পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট পরতে হয়, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
- হ্যান্ড গ্লাভস
- এন-৯৫ মাস্ক বা সার্জিক্যাল মাস্ক
- প্রোটেকটিভ গাউন বা অ্যাপ্রন
- গগলস বা ফেস শিল্ড
- জুতার কভার
রোগী সরানোর পরপরই প্রাথমিক জীবাণুমুক্তকরণ
- রোগী নামানোর পর অ্যাম্বুলেন্সের দরজা ও জানালা কমপক্ষে ১৫-৩০ মিনিট খোলা রাখা হয় যেন বাতাস চলাচল করতে পারে।
- অক্সিজেন মাস্ক, স্ট্রেচার, সিট, দরজার হাতল, চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।
- বর্জ্য পদার্থ (যেমন ব্যবহৃত মাস্ক, গজ, টিস্যু) নিরাপদভাবে প্যাকেট করে ফেলা হয়।
সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্তকরণ
প্রাথমিক জীবাণুমুক্তকরণের পর সম্পূর্ণ অ্যাম্বুলেন্সে ডিপ ক্লিনিং করা হয়। এতে কয়েকটি ধাপ রয়েছে:
পৃষ্ঠতলের জীবাণুমুক্তকরণ
- অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরের সিট, দরজা, জানালা, স্ট্রেচার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাতল, বেল্ট, মেঝে জীবাণুনাশক দ্রবণ দিয়ে মুছে ফেলা হয়।
- সাধারণত সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট (০.৫%), হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, এলকোহল-বেসড (৭০% ইথানল) স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়।
এয়ার পিউরিফিকেশন ও ফগিং
- ফগিং মেশিন ব্যবহার করে সম্পূর্ণ কেবিনে ডিসইনফেকটেন্ট মিস্ট (mist) বা ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়া হয় যা বাতাসে থাকা জীবাণু ধ্বংস করে।
- কিছু উন্নত অ্যাম্বুলেন্সে UV-সি (Ultra Violet-C) লাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে।
মেডিকেল ইকুইপমেন্ট জীবাণুমুক্তকরণ
- স্টেথোস্কোপ, ব্লাড প্রেসার মেশিন, পালস অক্সিমিটার, থার্মোমিটারসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ইথানল বা আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল দিয়ে মুছে ফেলা হয়।
- প্রয়োজন হলে, ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলোর কিছু অংশ অটোক্লেভ মেশিনে স্টেরিলাইজ করা হয়।
ব্যবহৃত পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট ও বর্জ্য অপসারণ
- জীবাণুমুক্তকরণ শেষে ব্যবহৃত PPE ও অন্যান্য বর্জ্য বায়োহ্যাজার্ড ব্যাগে সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থানে ফেলা হয়।
- সংক্রমণ রোধে এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুসারে সম্পন্ন করা হয়।
কতক্ষণ পর অ্যাম্বুলেন্স আবার ব্যবহার করা যায়?
- সাধারণ জীবাণুমুক্তকরণের পর ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স আবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- যদি ফগিং ও UV স্যানিটাইজেশন করা হয়, তাহলে ১-২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যেন জীবাণুনাশক উপাদান কার্যকর হয়।
- উচ্চ সংক্রমণযুক্ত রোগীদের পরিবহনের পর ৩-৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করা হতে পারে।
নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ
- চালক ও স্টাফদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
- হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
- অ্যাম্বুলেন্সে বাড়তি PPE ও স্যানিটাইজার রাখা।
- অ্যাম্বুলেন্সের এয়ার ফিল্টার প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা।
কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্ন (FAQs) ও তাদের উত্তর
প্রশ্ন: কোভিড রোগীর জন্য কি বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস রয়েছে, যা সম্পূর্ণ স্যানিটাইজড এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন: কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্সে কি বিশেষ ব্যবস্থা থাকে?
উত্তর: হ্যাঁ, এই অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে অক্সিজেন সাপোর্ট, ভেন্টিলেটর, আইসোলেশন সুবিধা এবং প্রশিক্ষিত মেডিকেল টিম থাকে।
প্রশ্ন: কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স কীভাবে বুকিং করা যায়?
উত্তর: ফোন, ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে অনলাইন বুকিং করা যায়। জরুরি অবস্থায় ২৪/৭ কাস্টমার সার্ভিসও পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্সে কি পরিবারের কেউ সঙ্গে যেতে পারবেন?
উত্তর: সাধারণত পরিবার থেকে একজন বিশেষ সুরক্ষা পোশাক (PPE) পরে রোগীর সঙ্গে যেতে পারেন, তবে নিয়ম প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হতে পারে।
প্রশ্ন: এই বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার খরচ কেমন?
উত্তর: কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খরচ সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়, কারণ এতে বাড়তি সুরক্ষা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হয়।
প্রশ্ন: এই অ্যাম্বুলেন্সে কি হাসপাতালে ভর্তি করানোর সুবিধা আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, বেশিরভাগ কোভিড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীকে দ্রুত ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে থাকে।
প্রশ্ন: অক্সিজেন সাপোর্ট কি সব কোভিড অ্যাম্বুলেন্সে পাওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, অধিকাংশ কোভিড অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সাপোর্টসহ প্রয়োজনীয় লাইফ সাপোর্ট সরঞ্জাম থাকে।
প্রশ্ন: কোভিড রোগীর জন্য কি আলাদা মেডিকেল টিম থাকে?
উত্তর: হ্যাঁ, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সসহ বিশেষ মেডিকেল টিম রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
প্রশ্ন: অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার পর কি স্যানিটাইজ করা হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, প্রতিবার ব্যবহারের পর অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করা হয় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বিশেষ জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: এই বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স সেবাগুলো ঢাকার বাইরেও পাওয়া যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, কিছু সার্ভিস ঢাকার বাইরেও কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে, তবে আগে বুকিং করা লাগতে পারে।
কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স আছে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে আলাদা এবং এতে বিশেষ সুবিধা থাকে। কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের উপলব্ধতা সীমিত হলেও সরকারি এবং বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানই এই সেবা প্রদান করে। কোভিড অ্যাম্বুলেন্সের খরচ সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে বেশি হয়। তবে এই সেবা কোভিড রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো নিয়োমিত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ভয়েস অফ দেশ